বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট বা হিসাব খোলার ফরম হয় ইংরেজিতে। ১০ পৃষ্ঠার এ ফরমে একই তথ্য কয়েকবার লিখতে হয়, অপ্রয়োজনীয় তথ্যও দরকার হয়। হিসাব খোলার জন্য ওই শাখায় আগে থেকে হিসাব রয়েছে এমন কাউকে খুঁজে বের করে তার প্রত্যয়ন নিতে হয়। ফলে একটি হিসাব খুলতেই কয়েক দিন লেগে যায় সাধারণ মানুষের। স্বল্প শিক্ষিতদের পক্ষে ওই ফরম পূরণ করাও অসম্ভব।
এ অবস্থায় হিসাব খোলার ফরম ১৬ পৃষ্ঠা থেকে কমিয়ে দুই পৃষ্ঠায় নামিয়ে আনা হচ্ছে। তাতে হিসাব খুলতে আগ্রহী ব্যক্তির ২০ ধরনের তথ্য চাওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর না থাকলে পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম নিবন্ধন নম্বর বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর থাকতে হবে। এর কোনোটিই না থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর রয়েছে এমন যেকোনো ব্যক্তি হিসাব খুলতে আগ্রহী ব্যক্তিকে চেনেন বলে প্রত্যয়ন করলেই হিসাব খোলা যাবে। পুরনো কোনো হিসাবধারীর প্রত্যয়নের দরকার হবে না। নতুন এই ফরম সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর সবাই ব্যবহার করবে। তবে হিসাব খোলার ফরমেই অর্থের উৎস সুনির্দিষ্টভাবে ও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে। হিসাব খোলার ফরম সহজ করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
ব্যাংকে ব্যবহৃত সব ফরম সহজ করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গঠিত কমিটি ইতিমধ্যে দুটি সভা করেছে। ৯ অক্টোবর তৃতীয়বারের মতো বসতে যাচ্ছে কমিটি।
বিভিন্ন ধরনের ঋণ আবেদনের ফরম সহজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংককে। বর্তমানে প্রচলিত নয়টি ফরমকে একীভ‚ত করে একটি আবেদন ফরম প্রস্তুত করা হচ্ছে। এখন ব্যাংকের ঋণ আবেদনের ফরমগুলোর একেকটি ১৫ পৃষ্ঠার। নতুন যে ফরম তৈরি করা হচ্ছে সেটি হবে পাঁচ পৃষ্ঠার। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে ব্যবহৃত বিভিন্ন জমার ভাউচার বিভিন্ন রকম। গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে সব জমা ভাউচার সহজ করে একই রকম করা হবে। জমা ভাউচার বাংলা ও ইংরেজিÑ দুভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে।